
সৌদি আরবের রিয়াদের এক বোনের গল্প পড়লাম সেদিন। আন্ডার গ্রাজুয়েট করা অবস্থায় বাবা বিয়ে দেয়নি। বলেছেন,
আগে পড়াশুনা শেষ করো, তারপর অন্যকথা। বাবার কথামতো পোস্টগ্রাজুয়েট, পিএইচডি করলেন। ফাঁক দিয়ে একজন স্বাভাবিক তরুণীর মতোই বোনটির দীর্ঘশ্বাস আরো দীর্ঘতর হতে লাগলো।
সমস্যা হচ্ছে, এত উচ্চশিক্ষিতার জন্য উচ্চশিক্ষিত ছেলে পাওয়া কঠিন। বোনটা ভার্সিটির প্রফেসর হয়ে গেলেন। কলিগরা বিয়ের প্রস্তাব দিলে সেখানেও বাবা না করে দেন। কোনো ছেলের চেহারা তার ভালো লাগে না তো কোনো ছেলের টাকাপয়সা তার কাছে কম মনে হয়। হয়তো মেয়ের জন্য পার্ফেক্ট ছেলে খুঁজতে গিয়ে তিনি ভুলে গিয়েছিলেন, পৃথিবীতে কেউই পার্ফেক্ট না। এমনকি তার মেয়েও না।
এর মধ্যে বহু নদীর জল বহু জায়গায় গড়াল। বোনের বয়সও ত্রিশ পেরিয়ে চল্লিশের দিকে এগোলো। প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে ভুগে একসময় হাসপাতালে ভর্তি হলেন তিনি। সামান্য অসুখই তীব্র আকার ধারণ করায় একসময় বোনটা মারা গেলেন।
মৃত্যুর সামান্য আগে বাবাকে কাছে ডেকে বললেন, বাবা বলুন আমিন।
বাবা বললেন, আমিন।
– আবার বলুন আমিন।
– আমিন।
– আরেকবার বলুন আমিন।
– আমিন।
বোনটা তারপর একরাশ ব্যাথা নিয়ে বললেন, ওয়াল্লাহি! আল্লাহর কসম! আল্লাহ যেন আপনাকে আখিরাতে জান্নাতের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেন যেভাবে আপনি আমার যৌবনে আমাকে বিয়ের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেছেন।
সাবধান! হে মা বাবারা। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআ’লা মাজলুমের পক্ষে আছেন।
আরও কিছু আর্টিকেল
স্বামী রাগান্বিত হলে স্ত্রীর করনীয়
ক্বাযা নামায প্রসঙ্গে জামিয়া আযহার কী বলে? আযহারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ও তার খণ্ডন
রাত জাগলে কী কী সমস্যা হয়? দেরিতে ঘুমালে ক্ষতি কী?